উত্থান-পতনের মধ্য দিয়েই যাচ্ছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। মাঝখানে কিছুদিন ২০ বিলিয়নের উপরে থাকলেও ফের তা নেমেছে ১৯ বিলিয়নের ঘরে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
বৈদেশিক মুদ্রা
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে ভয়াবহ কারসাজির তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কারসাজির হোতাদের চিহ্নিত করতে চার কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছে দুদক। সংস্থাটির উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে।
রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিটের (আরএফসিডি) ওপর ব্যাংকগুলো ৭ শতাংশের বেশি সুদ দেবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। রিজার্ভ কমে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু কারণকে দায়ী করছে সামষ্টিক অর্থনীতিবিদ এবং নীতি বিশ্লেষকরা।
গত প্রায় চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। জানা গেছে, ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ টানা দ্বিতীয় সপ্তাহে কমেছে এবং গত ১৫ সেপ্টেম্বর সপ্তাহ শেষে রিজার্ভ ৫৯৩ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। সুতরাং আগের সপ্তাহের তুলনায় ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে ৮৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আজ আবারো ৩০.০১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা গতকাল ছিল ২৯.৯৫ বিলিয়ন ডলার। পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রেমিট্যান্সের এই প্রবাহ এখন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রাখছে।
মাগুরায় পাটকাঠি পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে ছাই। যা দিয়ে তৈরি করা হয় কার্বন পেপার, ফটোকপিয়ার এবং কম্পিউটার প্রিন্টারের কালি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেছেন, দেশের রফতানি ও রেমিট্যান্স; আমদানির তুলনায় উদ্বৃত্ত হওয়ায় ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার কোনো সঙ্কট থাকবে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আমদানি রোধের পদক্ষেপ ও বৈদেশিক বাণিজ্যে মুদ্রা বৈচিত্র্যকরণ সত্ত্বেও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নিচে নেমে গেছে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকায় ভুটান যাত্রীবাহী যানবাহন, ভারি আর্থমুভিং মেশিন এবং কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যতীত সমস্ত যানবাহন আমদানি নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।